সহকর্মীদের উদ্দেশ্যে লিখা চিঠি | A letter towards my colleagues

প্রিয় বন্ধুগণ,

আপনারা নিশ্চয়ই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। সবাইকে নতুন বছরের  অগ্রিম উষ্ণ শুভেচ্ছা। কোন প্রতিদান না পাওয়া স্বত্বেও আমাদের সাথে থাকার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। আমি ব্যাক্তিগতভাবে আপনাদের প্রত্যেককেই সমানভাবে সম্মান ও মূল্যায়ন করি। আপনারা জানেন আমরা রিফলেক্টিভ টিনস’কে ‘কিশোরদের সৃজনশীল প্রতিভার প্রকাশ, বিকাশ ও পরিচর্যার একটি প্ল্যাটফর্ম’ হিসেবে গড়ে তোলার জন্যে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা সবাই আমাদের সাংগঠনিক উদ্দেশ্যকে মূল্যায়ন করি বলেই সবার একসাথে এগিয়ে চলা সম্ভব হচ্ছে। ইতিপূর্বে আপনাদের সকলের সাথেই মিটিং হয়েছে। সেখানে আপনারা আপনাদের দায়িত্বগুলো বুঝে পেয়েছিলেন। আশাকরবো আপনারা পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজগুলো এগিয়ে নিয়ে যাবেন। সবার প্রতি অনুরোধঃ

(১) আপনারা প্রত্যেকেই নোটপ্যাডে কাজগুলোকে ছোটছোট ভাগে ভাগ করে লিখে রাখবেন।

(২) প্রতি সপ্তাহ/মাস পর পর টিমমেটদের সাথে বসে ইভালুয়েট করবেন।

(৩) কাজগুলোকে প্লিজ আপন করে নিবেন।

(৪) আমাদের টিমে সময়ের প্রেক্ষিতে কিছু পরিবর্তন আসবে, ওয়েবসাইটে খেয়াল রাখবেন।

(৫) আমাদের সবকিছুকে নতুনভাবে ব্র্যান্ডিং করছি। খুব শীঘ্রই আপনার চোখে পড়বে।

আশাকরি আপনারা সবাই আমাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়নে দায়িত্ববোধের পরিচয় দিবেন। সময় যতোই খারাপ হোক, লেগে থাকা চাই। একভাবে না হোক, অন্যভাবে হবে। তারপরে শেষ হাসিটা আমরাই হাসবো ইনশাল্লাহ। সবশেষ একটা ঘোষনা, আপনাদের কাজের প্রতিদান দেয়া অবশ্যই সম্ভব নয়, তবুও – কেউ চাইলে শুধু গাড়িভাড়াটা হাতে নিয়ে কক্সবাজার ঘুরে আসতে পারেন। থাকা খাওার দায়িত্ব আমার।

ছোট্ট একটা চিন্তা করার বিষয় দিই – আলাদিনের গল্পে দৈত্বটার কথা মনে পড়ে? তার তো অনেক ক্ষমতা ছিলো, চাইলেই সব এনে দিতো। ওইবেটা সামান্য একটা কলসির ভেতর থেকে নিজেকে বের করে আনতে পারলোনা কেন? কেনো কলসের ভেতর থেকে দিনের পর দিন অন্যের কথা মতো করে যাচ্ছিলো? স্বাধীন হতে তো সবাই ভালোবাসে। তাও কেন সে হতে পারছেনা সব ক্ষমতা থাকার পরও? জানাবেন আমাকে, যদি কোন উত্তর থেকে থাকে।

ভালো থাকবেন। ভালো রাখবেন।

একটি ট্যাক্সময়, ম্যানুয়েল ও রসহীন কিন্তু রম্য রচনা

বিশেষ এক কাজে আমার ‘TIN সার্টিফিকেট’ এর প্রয়োজন হয়েছিলো। এখন খুব সহজে ঘরে বসেই অনলাইনে সেটা পাওয়া সম্ভব। কিন্তু ব্যপার হলো সেটার জন্য যে এনআইডি প্রয়োজন, ওটা আমার নেই। আছে শুধু পাসপোর্ট। সেটাকে কোনভাবে কাজে লাগানো যায় কিনা সেটা দেখার জন্য ঢুঁ মারতে গিয়েছিলাম ‘ইনকাম ট্যাক্স অফিস’ এ। যাওার আগে অবশ্য দুয়েকজনকে ফোন দিয়ে যা তথ্য পাওয়া গেলো তা সম্বল করে রওনা দিলাম। একজন আমাকে বলেছিলেন হেল্পডেস্কে কথা বললেই তারা সব ম্যনেজ করে দিবে। গিয়ে দেখি হেল্পডেস্কে তালা ঝুলছে। ব্যাপার কি? না আজ ছুটির দিন, না বেঠিক সময়? সবই তো ঠিক। অনেকের কাছে জানতে চাইলাম ঘটনা কি, কেন তালা ঝুলছে এসব… গলায় টাই ঝুলানো অনেক ব্যক্তিও ছিলেন আমার জিজ্ঞাসিত জনদের মধ্যে। কেউই ঠিকঠাক জবাব দিতে পারলো না। বিভিন্নজন আবছা আবছা যা বললো, তা একসঙ্গে করলে দাড়াল – ‘যিনি ওটার দায়িত্বে আছেন, উনার পরিবার ঢাকায় থাকেন। উনিও সেখানে গেছেন।’ – মানে ছুটিতে। ভালো। তাই বলে হেল্পডেস্ক বন্ধ থাকতে হবে? উনার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার কি কেউ নেই? নাকি শুধু ওই একজনই আছেন? হেল্পডেস্ক হলো এমন একটি বুথ, যেখানে যেকেউ যেকোন মুহূর্তে গিয়ে প্রয়োজনীয় সহায়তা বা নির্দেশনা পেতে পারেন। অফিসের অন্যান্য হর্তাকর্তারা আসুক না আসুক, হেল্পডেস্ক খোলা রাখতেই হবে। যেকোনভাবে।
যাহোক, অভিযোগ জানাতে সোজা গেলাম ‘কর কমিশনার’ এর অফিসে। ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি প্রায় ১২ টা। কিন্তু সহকারি জানালেন উনি আসেননি। এবার অনুধাবনে আসলো, ‘প্রতিষ্ঠানের মাথা যেখানে ঠিক নেই, সেখানে অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ঠিক থাকবে কি করে?’ সেখান থেকে বের হয়ে যাওয়ার পথে অবশেষে এমন একজনকে পাওয়া গেলো যিনি আমাকে সাহায্য করতে পারেন। উনি পরিচয় করিয়ে দিলেন ম্যানুয়েল এক পদ্ধতির সঙ্গে। অনলাইনে আবেদন করতে হবে, সেখানে একটা ইটোকেন দিবে যেটা এখানে এনে জমা দিলে তারা জানিয়ে দিবে আমার টিন সার্টিফিকেট কবে আসবে সেটা। এ জায়গায় ঠিক ‘আসবে’ না বলে ‘আনবো’ বলাটায় ভাল। কারন আমার নাকি টাকা পাঠাতে হবে সেটা ঢাকা থেকে আনার জন্য। হাজার দুয়েকের মতো। কারন হিসেবে জানালেন সেটা নাকি ঢাকা এনবিআর থেকে আসবে। আমি জানতে চাইলাম এটা কি ভাই বিল্ড ইন ম্যানুয়েল নাকি কাস্টম মেড? এটা কি আসলেই ম্যানুয়েল? তাহলে কি আমাদেরই টাকা দিয়ে আনাতে হবে? তিনি হয়তো জানেন। কিন্তু আমার মাথায় নেই। আপনার জানা থাকলে জানাবেন।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের একজন গবেষণা ফেলো বলেছন আমাদের দেশের ৪৭% কাজ অটোমেশনে আসার সুযোগ রয়েছে। যার মধ্যে গার্মেন্টস সেক্টরটাই সবার উপরে। এ তথ্যটাই আমাকে কিছুটা স্বস্থি দিলো। সরকারকে জানালে ঠিক কতোটুকু কাজ হবে সেটা বুঝেউঠতে পারছিনা। তবে খোদাতায়ালা যদি তাদের উপর একটু সদয় হন, তাহলে বোধ হয় কাজ হতে আরে। তাই সোজা উপরওয়ালার কাছে মর্জি, আপনি এই ম্যানুয়েল কাজ সহ অন্যান্য সকল কাজকে সেই ৪৭% কাজের মধ্যে ফেলে দিন। কাজটাকে অটোমেটেড করার তৌফিক দান করুন। আমিন। রচনাটা শেষ হলো।

হোয়াই শুড আই রেইজ চিকেনস


বিল গেটস ‘হোয়াই শুড আই রেইজ চিকেনস’ শিরোনামে একটা লিখা লিখেছিলেন আজ থেক দু বছর আগে। সেখানে তিনি বিভিন্ন দিক থেকে তুলে ধরেছিলেন কিভাবে মুরগি পালন একটি পরিবারকে স্বাবলম্বি করতে সাহায্য করে। তিনি একটা প্রশ্ন করেছেন। ধরন, ২ ডলার দিয়ে আপনার গোটা একটা সংসার চালাতে হয়, সেরকম পরিস্থিতিতে কিভাবে আপনি অবস্থার উন্নতি করতে পারেন? সমগ্র পৃথিবীর ১ বিলিয়ন মানুষের এই সমস্যাটি রয়েছে। অবশ্যই বেশ কিছু উত্তরও আছে প্রশ্নের তবে বিল গেটস বেছে নিয়েছিলেন যে উত্তরটি, সেটি হলোও মুরগি পালন। তিনি বেশ কিছু যুক্তি ও দেখিয়েছেন।
(১) এদের সহজে এবং কম খরচে লালল করা যায়।
(২) মাংশ, ডিম এবং বাচ্চা, সব দিক বিবেচনায় লাভজনক।
(৩) পরিবারের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক।
(৪) সর্বোপরি নারীর ক্ষমতায়নে সহায়ক।
তিনি ব্যাপারটাকে এতোটাই যৌক্তিক মনে করেছেন যে, বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন, হেইফার ইন্টারন্যাশনাল এর সহযোগিতায় একলাখ মুরগি বিতরণ করেছেন।

আজ ৭ মার্চ, আমার জন্মদিন। বার্থডে ফান্ডরেইজিং বাইরের দেশে খুব জনপ্রিয়। প্রতিটি মুরগির দাম ২৫০ টাকা করে ধরলে ১০০ টা মুরগির দাম আসে মাত্র ২৫০০০ টাকা। আমি আপনাদের সহযোগিতায় ১০টা পরিবারে ১০টা করে মুরগি তুলে দিতে চাঁই এবং দেখাতে চাঁই কিভাবে একটা পরিবারের অর্থনৈতিক চেহারা বদলে যেতে পারে। ১০০ টাকা আপনাদের কাছে কিছুই নয়। ২৫০ জন মানুষ ১০০ টাকা করে দিলেই পুরো টাকাটা উঠে যায়। আর তাতেই বদলে যেতে পারে ১০ টা পরিবারের চেহারা। আসুননা, একটু এগিয়ে যাই। সাহায্য করতে অগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন এই নাম্বারে +৮৮০১৮৩৪১৬১২৭১

বুক রিভিউ | গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং

গ্রোথকে হ্যাক করার অব্যর্থ হাঁতিয়ার রায়ান হলিডের লিখা বই গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং, যেটি বিশ্বব্যাপী মার্কেটিং এর বাইবেল বলে বিবেচিত। তারই ছায়া অবলম্বনে মুনির হাসানের একই নামে বাংলায় লিখা বইটি কোন অংশেই গুরুত্ব হারায়নি। লেখক এই বইয়ে ধাপে ধাপে দেশের এবং বিদেশের পরিচিত ও অপরিচিত বিভিন্ন উদাহারন দিয়ে দেখিয়েছেন কিভাবে প্রোডাক্টের কথা সবার কাছে ছড়িয়ে দিতে হয়। সবস্থরের পাঠক, বিশেষকরে উদ্যোক্তাদের জন্য লিখিত জাদুকরী এই বই মার্কেটিং সম্পর্কে আপনার ধারণাকে নতুন মাত্রা দিতে বাধ্য। লেখক ব্যক্তিগতভাবে এই ক্ষেত্রে নানাভাবে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। সেসব অভিজ্ঞতাও যুক্ত করা হয়েছে এই বইয়ে যা আপনাকে আলোচ্য বিষয়গুলো দেশীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও বুঝতে সাহায্য করবে। সবমিলিয়ে বইটি আমার দৃষ্টিতে একটি সু ও সুখপাঠ্য। পাঠক, লেখক সম্পর্কে আমি শতভাগ আত্ববিশ্বাসী ছিলাম বলেই বইটি কিনেছি। আমি হলফ করে বলতে পারি আপনার সময় ও টাকা কোনটাই জলে যাবেনা।

কলকাতায় ফেরার পথে

সুদীপ্ত। আমার বন্ধু। বেশ গোবেচারা টাইপ ছেলে বলতে পারেন। ঠিক ৭টা ৫মিনিটের ট্রেন। আনন্দ বিহার থেকে ছাড়বে। যাচ্ছি হাওড়া। অল্প কিছুতেই অনেক বেশী ভয় পেয়ে যায়, অনেক বেশী চিন্তায় পড়ে যায় – এই হলো তার স্বভাব। থাকছি দোয়ারকা; কাকার বাসায়। ট্রেন যাতে কোনভাবেই মিস না হয় তার জন্যেই যতো তোরজোড়। ভোর সাড়ে চারটায় এলারম সেট করে, ন ডিগ্রী তাপ থেকে রক্ষে পেতে, গায়ের উপর দুদুটো লেপ চাপিয়ে ঘুম দিলাম ঠিক রাত দশটায়।

এলারম বাজার সাথে সাথেই সুদীপ্তের চেঁচামেচিতে আমার ঘুম ভাঙলো। মুখহাত ধুয়ে কাকির দেয়া বড় একপ্যাকেট নাস্তা সম্বল করে বেরিয়ে পড়লাম। যখন বেরুচ্ছি, সময় তখন ভোর পাঁচটা। আমি ভেবেছিলাম এতো ভোঁরে রাস্তা নিশ্চই ফাঁকা। রাস্তায় নেমে দেখলাম গোটা চিত্রটাই ভিন্ন। গাড়ি, গাড়ি আর গাড়ি। দিল্লির রাস্তা এখনো পুরোটাই জীবন্ত। আমি বোকা। মানছি দিল্লির মতোন এক শহরে এমন ফাঁকা রাস্তা আশা করাটা ঠিক হয়নি। তাই বলে এতোটা যে বোকা সেটা কিন্তু আগে বুঝিনি। আমরা উবারে চেপেছি। আশপাশ দিয়ে অনেক গাড়ি যাচ্ছে। অনেকগুলো মোটরসাইকেলও দেখা যাচ্ছে। সবগুলোতেই সামনে একটা ছেলে আর পেছনে একটা মেয়ে। দুটো ব্যাপার। এক – আমরা যেহেতু ষ্টেশনের রাস্তা ধরে যাচ্ছি তাই এটাতে এসময়ে অনেক গাড়ি থাকতেই পারে। দুই – এখানে রাত দশটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত ক্লাব-বারগুলো খোলা থাকে। হয়তো সারারাত আনন্দ করার পর ছেলেরা মেয়েগুলোকে ড্রপ করে দিতে যাচ্ছে।

সে যাই হোক। ট্রেনে উঠেছি। স্লিপার ক্লাস। বগি খুঁজে পেতে সমস্যা হলোনা। ভুলোমনা বলে জুতা আর ব্যাগ একসাথেই রাখলাম। এটলিস্ট জুতো ছাড়া তো ট্রেন থেকে নেমে পড়বোনা। আর জুতো নিতে গেলেই ব্যাগটা চোখে পড়বে। এই হলো আমার লজিক। পাশের সীটে বসেছে ওয়েস্ট বেঙ্গলের এক ছোট পরিবার। বাবা, মা আর ছোট্ট একটা মেয়ে। এসেছিও ট্রেনে। গতো সপ্তাহের পুরোটাই প্রোগ্রাম আর ঘুরাঘুরি নিয়ে এতোটাই ব্যস্ত ছিলাম যে, ভারতীয় ট্রেনে লম্বা ভ্রমনের ব্যাসিক কিছু প্রস্তুতি নিতে ভূলে গিয়েছি। যার মাশুল এখন দিতে শুরু করছি। জানালার সাটার কোন এক অদ্ভূত কারনে পুরোটাই বন্ধ করা যাচ্ছে না। ট্রেন যতো তেজ পাচ্ছে, ততোই হাওয়া হুড়হুড় করে ঢুকছে। সবাই মোটা কাথাকম্বল নিয়ে এসছে এখানে। তাই তাদের কোন সমস্যা নেই। যতো সমস্যা আমাদেরই। ব্যাগ থেকে কোট আর লুঙ্গিটা বের করে ম্যনেজ করার ব্যর্থ চেষ্টা করেই চলেছি। মাথার নীচে ব্যাগ, গা আর মুখের উপর কোট এবং পায়ের উপর লুঙ্গিটা – এই হলো আমার ব্যর্থ চেষ্টার বর্ণনা। মোটেও ভূল ধারণা করার কারন নেই। আমি জামাকাপড় পড়েই উঠেছি। সে জামাকাপড়ের উপরেই আবার এসব। তবুও কাজ হচ্ছে না।

ঘুমোতে না পেরে ব্যগ থেকে ল্যাপটপটা বের করলাম। অল্পঅল্প ভয় করছে। ঝাপ্টা পার্টির ভয়। কোন সময় কেড়ে নিয়ে চলে যায়। তখন আমার কিছু বলার থাকবেনা।

পাশের ওই ওয়েস্ট বেঙ্গলের মহিলা আমার মায়ের বয়েসি। উনারা দুটো কম্বল নিয়ে এসেছেন। আমাদের দেখে উনার ভালোবাসার উদয় হলো। কিন্তু সমস্যা হলো স্লিপার ক্লাস। স্বামীস্ত্রী দুজন উপর-নীচে দুই বিছানায়। বাচ্চাটা মায়ের সাথে নীচেরটায়।

আমি যতক্ষণে এটাওটা করছি, ততক্ষনে তার ঘুম থেকে উঠে গেছে। শুধু ছোট্ট মেয়েটা উঠেনি। ট্রেনে উঠার পর ওই মহিলার সাথে আমাদের অল্প কথা হয়েছিল। তাই এখন কথা বলতে আর বেগ পেতে হলো না। মেয়েরা একটু ওই রকমই। খুব আবেগ তাদের। বললো – “বাবা, আনোনি কিছু?” “খুব ঠান্ডা লাগছে না?” “কিনোনি কেনো?” এরকম অনেক প্রশ্ন। শেষে বললো – “বাবা, আমার মেয়েটা উঠুক। তারপর কম্বলটা আমি তোমাদের দিবো। ঘুমিয়ে নিও একটু।”

 

 

 

the WRONG way!

The most alarming fact is ‘65% of today’s school kids will end up in a job that hasn’t been invented yet’. Yeah, we may not know what those jobs are but can predict those future skills. According to World Economic Forum – Problem Solving, Critical thinking, Emotional intelligence, Cognitive flexibility are some of those future skills. Peoples like Shams jaber of Tech Academy from Bangladesh or Sonam Wangchuk of SECMOL from India are trying to break the barrier and developing a new system of education. It’s been late already. Though, just to prepare our kids for the future, for the shake of this entire world, we should focus on a skill based education system that will be thousand times better.