পাঁচমাস হতে চললো লকডাউনের। দোকানপাট, ব্যবসাবাণিজ্য, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান – সবকিছু বন্ধ। কিন্তু এভাবে তো বেশীদিন চলবে না। সরকার সিদ্ধান্ত নিলো দোকানপাট খুলে দেয়া হবে সীমিত পরিসরে। কিন্তু খুলবেনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে ক্লাস হবে অনলাইনে। এটা সুচিন্তা। সরকারকে ধন্যবাদ। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেখান থেকেই সূত্রপাত হয় এক নতুন বৈষম্যের।
কালো মেঘ সরে যাবে
একটা সময় ছিলো যখন মনে হতো আমাদের প্রজন্ম বোধহয় দেশটা ভালোই চালাতে পারবে। তাদের হাত ধরে আসবে পরিবর্তন। কিন্তু সেচিন্তায় নির্ভার থাকা আর হলো কোথায়? এই সময়ের তথাকথিত টিকটক সেলিব্রিটি অপু বাঁ মামুনের দিকে তাকালে আমার সব আশা ভেঁপুরের মতো উধাও হয়ে যায়। তাদের তৈরি করা কনটেন্ট নিয়ে সবার মাথায় হাত। সবার মনে অপু-মামুনের বিকৃত […]
কৃষি – দূর ও অদূর
মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে দেশের জনসংখ্যা ছিলো মাত্র সাড়ে সাত কোটি। অথচ তখন দেশের অধিকাংশ লোকের কপালে তিনবেলা খাবার জুটতো না। ১৯৭৪ সালে পরিস্থিতির আরও খারাপ হয়ে যায়। দেখা দেয় দুর্ভিক্ষ। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মারা যায় প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষ। ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশে আবাদি জমির পরিমাণ ছিল ৯ দশমিক ৭৬২ মিলিয়ন হেক্টর। বিগত ৪০ বছরে কমতে […]
করোনা সংকট ও প্রান্তিক অর্থনীতির হালচাল
করোনার ভারে নুইয়ে পড়েছে গোটা দেশ। এই প্রভাব ছড়িয়ে গেছে দেশের আনাচে কানাচে। লকডাউন ছিলো ঠিকই, তবে তার অনেকটাই আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। বাস্তবিক অর্থে কখনোই তার পুরোপুরি কার্যকরী ছিলোনা। সে যাই হোক, অর্থনীতির গতি যে শ্লথ হয়েছে সেটা নিশ্চিত। সামগ্রিক অর্থনীতি কোনদিকে আগাচ্ছে সেটা নিয়ে অনেকেই গভীর পর্যবেক্ষণ করছেন, পর্যালোচনা করছেন, দিচ্ছেন পরামর্শ। দেশের একদম প্রান্তিক […]
দিকভ্রান্ত অর্থনীতি
করোনার এই ক্রান্তিকালে অর্থনীতিবিদদের মধ্যে একটা বিষয়ে সুস্পষ্ট দ্বিমত লক্ষ্য করা যায়। যেহেতু করোনার কারণে লোকজনের চাকুরী নেই, তাই তাই আয়ও নেই। নেই চাহিদা কিংবা উৎপাদন। এমন অবস্থায় একদল অর্থনীতিবিদ বলছেন সাতপাঁচ না ভেবে সবার হাতে টাকা তুলে দেয়া হোক। যেটাকে অর্থনীতির ভাষায় বলে হেলিকপ্টার মানি। মানুষের হাতে টাকা গেলে চাহিদা বাড়বে। ফলশ্রুতিতে বাড়বে উৎপাদনও। […]
ভ্যাকসিনের গণতন্ত্রায়ন
ধনী দেশগুলোর পর্যাপ্ত বরাদ্ধ সব নাগরিককের জন্য ভ্যাকসিন উৎপাদন ও উন্নত অবকাঠামো সবাইকে দ্রুত ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে পারবে। কিন্তু অর্থ ও অবকাঠামো – এই দুই দিক থেকেই পিছিয়ে থাকা দক্ষিনের দেশগুলোতে আসতে কতো দিন লাগবে সেটা চিন্তার বিষয়।বাংলাদেশকে নিয়ে আমি আশাবাদী। আমাদের আছে ব্র্যাকের মতো মানুষের সাথে মিশে থাকা এনজিও। আছে ঘরে ঘরে পোলিওর টিকা পৌঁছে দেয়ার অভিজ্ঞতা। আছে উদ্যোগী তরুণ। আছে বিদ্যানন্দের মতো জানপ্রান ঢেলে কাজ করার লোক। আমরা পারবোই ইনশাল্লাহ।