Caverta: Comprehensive Guide

Characteristics Details
Active Ingredient Sildenafil
Available Dosage 25 mg, 50 mg, 100 mg
Form Tablet
Recommended Use Treatment of Erectile Dysfunction
Visit Official Site

Available Dosage Forms and Strengths

The medication Caverta is available in tablet form. The active ingredient, sildenafil, is offered in three dosages: 25 mg, 50 mg, and 100 mg. These varying strengths allow customization of treatment, catering to individual patient needs. Caverta 100 mg is the highest strength, often prescribed for more pronounced symptoms. A lower dosage such as Caverta 25 mg may be suitable for those with milder symptoms or who experience side effects at higher dosages.

Each dosage form of Caverta is designed for ease of use. The tablets are typically taken orally with water. The selection of the proper dose depends on several factors, including the severity of the condition, the patient’s response to the medication, and any concurrent health issues.

Areas of Use

Caverta’s primary use is for the treatment of erectile dysfunction (ED). The active component, sildenafil citrate, enhances blood flow to the penile region, assisting in achieving and maintaining an erection. It acts by inhibiting the enzyme phosphodiesterase type 5 (PDE5), which regulates blood flow.

Though its main use remains ED, Caverta has potential off-label uses. Studies are exploring its benefits in treating pulmonary arterial hypertension and other cardiovascular conditions. However, such use should only occur under strict medical supervision.

Caverta Contraindications

Certain conditions contraindicate the use of Caverta. Patients with severe cardiovascular disorders should avoid its use. Nitrates for heart conditions and Caverta 50 mg should not be combined, as this can lead to a dangerous drop in blood pressure.

Individuals allergic to sildenafil should not take this medication. Those with severe hepatic impairment, retinal disorders, or a history of stroke or heart attack within the last six months should consult healthcare professionals before using Caverta.

Caverta Disposal

Proper disposal of Caverta is crucial. Medications should not be flushed down the toilet or poured into drainage systems. Instead, use pharmaceutical take-back programs or follow local regulations for drug disposal.

If these options are unavailable, mixing Caverta with unpalatable substances and sealing them in a container before disposal can be an alternative. This prevents accidental ingestion by children or animals.

Caverta Side Effects

While Caverta effectively treats ED, it may cause side effects. Common ones include headaches, flushing, and indigestion. Dizziness and nasal congestion may also occur. Most side effects are mild and temporary.

Serious side effects, though rare, require immediate medical attention. These include sudden vision loss, prolonged erections, and severe allergic reactions. Patients experiencing these should discontinue use and seek medical help.

Where to Buy Caverta Online

Caverta is available for purchase online through licensed pharmacies. It is vital to select reputable sources to ensure authenticity and safety. Prescriptions may be required depending on local regulations.

Online platforms may offer convenience and competitive pricing. However, always verify the legitimacy of the pharmacy before buying. Consult with healthcare providers for recommendations on trusted online pharmacies.

Data origin:

প্রিয় অভিভাবক সমীপে…

এই লেখাটি যখন লেখার পরিকল্পনা করছি, এস এস সি, সুইসাইড – এই দুটি কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করে আমি অসংখ্য খবরের লিংক পেয়েছি। অতী পুরনো থেকে অতী সাম্প্রতিক খবরের ছড়াছড়ি এ নিয়ে। প্রতিবার একটা করে পাবলিক পরিক্ষার ফলাফল বের হয়। আর তার সাথে সাথে প্রকাশ হতে থাকে বাচ্চাদের আত্নহত্যার খবর।

সপ্রতি এস এস সি পরিক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর পর একটা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাওর হয়ে উঠে। ভিডিওতে দেখা যায় কয়েকজন অভিভাবক নাচানাচি করছেন। একজন সাংবাদিক উনাদের কাছে যান এবং এই নাচানাচির কারন জানতে চান। উত্তরে তারা জানান তাদের মেয়েরা গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে। তাই তাদের এই উদযাপন। সবাই মজা করে এই ভিডিও শেয়ার করছেন, আর হাসাহাসি করছেন। বাবামা’রা সন্তানের সাফল্যে আনন্দিত হতেই পারেন, স্বাভাবিক। কিন্তু আমি ভাবছি তার উল্টোটা। এতো এতো গোল্ডেন এ প্লাসের ভেতরে নেচে নেচে উদাযাপন করা অভিভাবকের কেউ একজনের সন্তানের ফলাফল এতোটুকু খারাপ হলে তার অবস্থা কি হতো ভাবুন তো? পুরো পজিটিভ এনার্জিটুকু একটা বাচ্চার উপর নেগেটিভ ফোর্স হিসেবে চাপতো! ভাবা যায়? তার মনে হবে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় অপরাধটা সে করে ফেলেছে। তাই গোটা দুনিয়া তার বিপরীতে। আর এই মুহূর্তে বাচ্চাটা যদি আবেগের বশীভূত হয়ে সুইসাইড করে ফেলে তাহলে কিন্তু বাবামা’রা ঠিকই বলবেন – কেনো এমন করলি আমার কলিজা? ফলাফল  খারাপ হয়েছে তো কি হয়েছে? কিন্তু বাস্তবতা হলো, ফলাফল  খারাপ করলে ঠিকই ওই ভয়ংকর খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে তাকে যেতে হতো।

ছোট ছোট বাচ্চা, তাদের এমন আর কি কষ্ট যে নিজেকে একেবারে শেষ করে দিতে পারে? কিছুর কথা না ভেবেই এমন একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলো? আপনার মনে এমন হাজারো প্রশ্ন আসতেই পারে। আসলে আমরা সবাই এখন ভয়ংকর এক ইঁদুর দৌঁড় প্রতিযোগিতায় আছি। যে প্রতিযোগীতার কোনো শেষ নেই।  এই প্রতিযোগিতা আমাদের হতাশা ও বিষণ্ণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। হতাশা মানুষের সৃজনশীলতা, বোধ ও বুদ্ধিমত্তা নষ্ট করে দিচ্ছে। পরিবারের চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত মানুষকে আরও চাপের মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। বাবামা’রা যুক্তি দেখাতে পারেন – কোনো বাবামা তো আর সন্তানের অমঙ্গল চায় না। চায় না সন্তানেরা খারাপ থাকুক, কষ্ট পাক। কিন্তু এতো পরিশ্রমের পরও যদি ভালো ফলাফল  না করে, সমাজে মুখ দেখাবো কি করে? তাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, আপনারাই সমাজ বানিয়েছেন। একজন একজন করে গোটা সমাজকে এমন পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন।

আপনার আচরন তারা দেখে শেখে। আপনাদের কাছ থেকেই তারা দেখে শিখে। আপনাকে দেখে তারা বুঝে এ প্লাস-ই সব। তারা দেখে এ প্লাস না পাওয়াদের কিভাবে দেখা হয়। বাচ্চাদের নিষ্পাপ মনটাকে অভিভাবকেরাই কালো করে তুলেন। তারা শিখিয়ে দেন পাশের জনকে নোট না দেয়ার কথা। তারাই বাচ্চাদের মাথায় ঢুকিয়ে দেন যেকোনোভাবে এ প্লাসটা পেতে হবে। না হলে ষোলোআনাই বৃথা। আপনি যদি অভিভাবক হোন আপনাকে একটা প্রশ্ন করি। প্রশ্নটা থ্রি ইডীয়টস থেকে নেয়া। আপনি প্রতিদিন কোন টেস্টে কতো মার্কস পেয়েছ সেটা জিজ্ঞেস করেন। কিন্তু কখনোই কি জিজ্ঞেস করেছে সে তার বন্ধুকে সাহায্য করেছে কিনা? না, করেন নি। তাহলে তো সবকিছুর উর্ধে এ প্লাস-কে স্থান দেয়াটাই স্বাভাবিক।

স্কটিশ দার্শনিক ডেভিড হিউম সেই ১৭ শতকে তার ‘আত্মহত্যা’ বিষয়ক প্রবন্ধে লিখেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি কোনো মানুষ কখনোই তার জীবনকে ছুঁড়ে ফেলে দিতে পারে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সেই জীবনটা তার কাছে মূল্যবান থাকে।’ বিষণ্ণতা থেকে আবেগ তৈরি হয়, আশা চলে যায়, অন্য কোনো উপায় খুঁজে পায় না মানুষ, একমাত্র উপায় হয় তখন নিজের জীবন নিয়ে নেওয়া।

ও কখনো স্বার্থপরের মতো মরে যাওয়ার কথা ভাবেনি, ভেবেছে আমাদের মুক্তি দেওয়ার জন্য। আমরা ওকে বুঝাতে পারিনি যে তুমি একা নও। ফলাফল  যখন খারাপ হয়, তখন সে ভাবে তার আর কোনো উপায় নেই। কারন আপনি তার মাথায় ঢুকিয়েছেন যে, এ প্লাস সবকিছুর উর্ধে। এমনিতেই অপরিণত বয়স, তার উপর এতোকিছু তার মাথায় ধরে না। সে আসলে নিজে বাঁচার উপায় হিসেবেই মৃত্যুকে বেছে নেয়।

পড়ালেখা, ভালো ফলাফল অবশ্যই খুবই গুরুত্বপুর্ন। তবে এতোটা গুরুত্বপুর্ন নয় যতোটা গুরুত্বপূর্ণ ভাবলে সে এর বিনিময়ে নিজের জীবনকে ছুড়ে ফেলার কথা ভাববে। ভাববে গোটা দুনিয়ার সবাই তার বিপরীতে। এ প্লাস কেন্দ্রিক এই দুনিয়ায় তার আর কোনো স্থান নেই। চলুন তাদের বুঝাই, এ প্লাস পাওয়া গুরুত্বপুর্ন, তবে বন্ধুর পাশে দাঁড়ানো কিংবা ভালো মানুষ হওয়া কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। সাবধান, খুব স্বার্থপর একটা প্রজন্ম গড়ে তুলছি আমরা। একজন অভিভাবক হিসেবে এর দায় আর ফলাফল কোনোটাই এড়াতে পারেন না আপনি।  

নানাবাড়ি, আমার হল (ডর্ম) জীবন আর আমি

অনেদিন লেখা হয় না। আজ শুক্রবার। ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হয়েছে। ঠিক দেরি হয়েছে বললে ভুল হবে। বরং বলি দেরি করেছি। কাল রাতে হঠাত কালবৈশাখী ঝড় হলো। এই এক ঝড়ে কতো কি হয়ে গেলো। অনেক অনেক দিন পর ভার্সিটির হলে বিদ্যুৎ চলে গেলো। পুরো হলের সব ছেলে পেলে তাই উদযাপন করতে রুম থেকে বেরিয়ে পড়ল। সবাই কমন করিডোরে এসে সজোরে চিল্লাতে লাগলো – শাহিইইইন… ধরে ফেল, ধরে ফেল। আধোঘুমে ছিলাম আমি। তাদের চিল্লাচিল্লিতে আমার ঘুম গেলো উবে। বুঝার চেষ্টা করলাম তারা কি চায়। বুঝতে পারিনি। পরে সকালে নাশতা খেতে যাওয়ার পথে এক বন্ধুর সাথে গল্প করছিলাম। সে জানালো এই ঘটনা নাকি নিয়মিত হয়। যখনই বিদ্যুৎ যায়, ছেলেপেলেরা কিছু একটা নিয়ে চিল্লাতে চিল্লাতে আকাশ আর ছাঁদ এক করে ফেলে। ওহ, বলা হয়নি, আমি হলে নতুন উঠেছি। তাই রীতিনীতি জানিনা ওতোটা। অনেকদিন হলরোডের একটা বাসায় থাকতাম একা। তাও থাকতাম জোর করে। একা থাকলে চিন্তা ভালো করা যায়। মনোযোগ দিয়ে কাজ করা যায়। কিন্তু শেষদিকে এসে মনে হলো, থাক, আর কয়দিনই বা আছি ভার্সিটিতে। যাই, একটু হলে থেকে আসি। ভিন্নকিছু উপভোগ করি। এভাবেই আমার হলে উঠা।

সকালে নাশতা যাওয়ার পথে নীচ তলায় এক বন্ধুর রুমে ঢু মারতে গেলাম। উদ্দেশ্য তাকে সাথে নিয়ে যাবো নাশতা করতে। তার রুমের পেছনের বারান্দায় গিয়ে দেখি এক পিচ্চি গাছ থেকে বরই পাড়ার চেষ্টা করছে। বেচারা নাগাল পাচ্ছে না। বারান্দাটা একটু উঁচু। আমি একটা ডাল টেনে তার হাতে ধরিয়ে দিতে যাবো, তখনই সে নিজেই আরেকটা ডাল ধরে দিলো টান। কিছু বুঝে উঠার আগেই দেখি হাতে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করলাম। একটা কাঁটা ঢুকে গেছে হাতে। বেচারা ছোটো মানুষ বুঝতে পারেনি এমন হবে। আমি চলে এলাম।

হলের রাস্তাটার সামনে একটা আম গাছ আছে। বেশকিছুদিন ধরে নজর রাখছিলাম। প্রমান সাইজের হলেই হানা দিবো। এ জায়গায় একটা কথা বলে দিই – হলকে কেনো জানি আমার নানার বাড়ির মতোই মনে হয়। আম্মুর জন্ম একটা বাড়িতে ঠিক আছে, কিন্তু আশেপাশের সব বাড়িকেই আমরা নানাবাড়ি ধরে নিই। ধরে নেয়ার কারন প্রত্যেকের আতিথেয়তা। আমরা গেলে তারা এমন ভাবে করে, নিজের আপন নানাবাড়ি না ভেবে উপায় নেই। যাহোক, নানার বাড়ি গেলে দেখা যেতো চারদিকে অনেক গাছে। কোনো না কোনো গাছে কিছু না কিছু একটা ধরেছে। হয় নারকেল, নাহয় পেয়ারা, নাহয় বাতাবী লেবু আর নাহয় বরই। কাজিনরা দলেবলে যেতাম, দেখতাম, পছন্দ হলে খেয়ে ফেলতাম। কোথাও বলার মতো কেউ নেই। সবই আমাদের ইচ্ছা। হলের পরিবেশও একদম তাই। চারদিকে অনেক ফলমূলের গাছ। কোনো গাছে কাঠাল, কোনো গাছে পেয়ারা, কোনো গাছে গাব, ডাব, বা অন্যকিছু। যে যখন যেভাবে চায়, খেতে পারে। কেউ কিছু বলবে না।  

নাশতা করে ফেরার পথে আম গাছে চোখ পড়তেই দেখলাম আমটা প্রমান সাইজের হয়ে গেছে। অন্যকারো নজরে পড়ার আগেই পেড়ে নিয়ে উদরে চালান করে দেয়াটাকে যথার্থ মনে করলাম। যেই ভাবা সেই কাজ। রুমে এসে লবন দিয়ে আমটা খেতে খেতে ভাবছি, একটাই তো জীবন। টুপ করে কোনো একদিন মরে গেলেই তো সব শেষ। কি দরকার এতো চিন্তাভাবনার? কি দরকার এতো প্যাঁচাল করার? আহা, জীবনটা সুন্দর।        

The Importance of Finding True Happiness Beyond Material Possessions

Have you ever chased after something for so long, only to realize it means nothing to you once you finally attain it? Have you been playing at boss casino for 5 years only to realize that it doesn’t bring you any pleasure? I certainly have. Six or seven years ago, I used to watch people on stage with big names, speaking in plenary discussions, and receiving international accolades, and I thought to myself, “that’s the position I want to be in. That’s the position that can make me happy.” Fast forward to today, and I have achieved all of those things. But still, I find myself feeling unfulfilled and running after something else.

The truth is, the focus always shifts. It’s the nature of almost all human beings. We constantly try to find our happiness in materialistic things, believing that achieving more will make us happier. But the reality is, material possessions and accomplishments can only bring temporary happiness. It’s like a drug – once you have it, you feel good for a while, but then you need more to feel the same way again.

So what can we do to find true, long-lasting happiness? My advice is to invest your time in something even more meaningful – building and nurturing relationships, or helping others in need. These are the things that truly give us a taste of real happiness. When you surround yourself with people you love and who love you back, you create a support system that can uplift you in the toughest times. When you help someone in need, you experience the joy of making a positive impact in someone else’s life.

It’s important to remember that wealth can come and go. If you lose your wealth, you can regain it. But if your nearest or dearest one dies, you can’t get them back. So instead of chasing after material possessions and accomplishments, focus on what really matters in life – the people you love and the impact you can make on others. Only then will you find true happiness that lasts a lifetime.

What do you think? Have you found happiness beyond material possessions? Share your thoughts in the comments below.

#love#experience#people#happiness#lifelessons

আমাদের নাইন্টিনাইন ক্লাব

কতো ছোট্ট একটা জীবন। ছোট্ট এই জীবনে আমরা নানানভাবে ব্যস্ত হয়ে যাই। জড়িয়ে পড়ি মোহ-নানান মায়ায়। নানান বেড়া জালে। এই বেড়া জাল কাটিয়ে উঠতে গিয়ে আমাদের সম্মুখীন হতে হয় বিভিন্ন পরিস্থিতির। এসব পাড়ি দিতে দিতে নিজের অস্তিত্বই হারিয়ে ফেলি। ফুড়ুত করে কোন সময় যে জীবনটা ফুরিয়ে যায় সেটা টেরই পাইনা। মৃত্যুর মতো সুনিশ্চিত বিষয়কে আমরা ভুলে যাই। এতো কিছু কেনো করি আমরা? কেনো জড়াই এতো মায়া? মোহে? কেনো এতো ধনসম্পদের পাহাড় গড়ি? জীবনটা একটু সাদামাটা হলেই বা সমস্যা কোথায়? অবশ্য, বোকার মতো আমরা দুনিয়ার এই ইঁদুর দৌড়ে এতোই মজে থাকি, এই প্রশ্ন মাথায় আসার সুযোগই হয়না।

অনেকদিনের ইচ্ছা একটা স্মার্টওয়াচ কিনবো। লেদারের একটা ব্যাগ নিবো। এক আউটলেটে সুন্দর ব্যাগ দেখেছি, ব্যাকপ্যাকটা চেইঞ্জ করবো। যতোবার টাকা হাতে পেয়েছি, এসবের কথায় মাথায় এসেছে। কিন্তু পরমুহুরতে ভেবেছি, না, থাক। টাকাটা বাঁচিয়ে রাখি। পরে বিপদে কাজে লাগবে। অথবা ভালো কোনো জায়গায় বিনিয়োগ করা যাবে। কিন্তু কই, অনেক টাকা এলো গেলো, বিনিয়োগ তো হলো না। না হলো বিন্যোগ, না পূরণ হল ছোট্ট ছোট্ট শখ, কি লাভ এতে? সত্যি বলতে অনেকেই নিজেদের সুখকে গুরুত্ব দিনা। এটা করা মোটেও উচিৎ নয়।

একতকা গল্প বলে শেষ করবো। এক রাজা বের হয়েছেন তাঁর রাজ্য ঘুরতে। আর দেখতে, তাঁর রাজত্বে প্রজারা কেমন জীবন যাপন জকরছেন। যেমন কথা তেমন কাজ, রাজা বের হয়েছেন, ঘুরছেন, ফিরছেন, কুশলাদি বিনিময় করছেন। রাজা দেখলেন, সবারই কোনো না কোন অভিযোগ আছে। আছে অশান্তি। শুধু একজন কৃষক আছেন যিনি আলাদা। যার কোনো দুঃখ নেই। রাজা তো বেশ অবাক। যাহোক, ভ্রমণ শেষে রাজা চলে এলেন। ঐ কৃষকের কথা রাজা ভুলতে পারেননি। তিনি তাঁর সভাসদ, মন্ত্রীবর্গদের ডাকলেন, ঘটনার বিবরন বর্ণনা করে কারন জানতে চাইলেন। একজন মন্ত্রির বললেন, সে কারনতা জানে। কি কারন? কারনটা হলো – তিনি নাইন্টি-নাইন ক্লাবের সদস্য না! এটা আবার কেমন? শ্রীঘ্রই বুঝবেন।

মন্ত্রী মশায় এক অদ্ভুত কাজ করলেন। তিনি ঐ রাতে হাসিখুশি কৃষকের বাড়ির সামনে গিয়ে একটা থলে রেখে আসলেন। থলেতে নিরানব্বইটা স্বর্ণমুদ্রা রাখা। রাত পেরিয়ে সকাল হলো। কৃষক পরদিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে দরজার সামনে রাখা থলেটা দেখতে পান। দ্রুত হাতে নিয়ে খুলে দেখেন তাতে নিরানব্বইটা স্বর্ণমুদ্রা রাখা। প্রথম তাঁর মাথায় যে প্রশ্নটা আসলো সেটা হলো – নিরানব্বইটা কেনো? নিশ্চয়ই একশটা ছিলো। বাকি একটা গেলো কই? হাসিখুশি কৃষক পড়ে গেলেন মহা চিন্তায়। হন্নে হয়ে ঐ একটা স্বর্ণমুদ্রার খোঁজ করতে গিয়ে সেদিন আর ক্ষেতে যাওয়া হলো না। এরপর থেকে যেখানেই যান, একটা স্বর্ণমুদ্রা খুজে বেড়ান। স্বর্ণমুদ্রা তার মাথা খেতে শুরু করলো। নিরানব্বইটা স্বর্ণমুদ্রা থাকার পরও সে সন্তুষ্ট নেই। আরও একটা লাগবে যে…। কৃষকমশায় দিন নাই রাত নাই, প্রচন্ড খাস্টাখাটনি শুরু করলেন। যেকোনো মূল্যে আরেকটা স্বর্ণমুদ্রা কেনার টাকা জমাতে হবে। সারাদিন প্রচন্ড খাটাখাটনি করতে করতে মেজার হয়ে যায় খিটখিটে। যেদিন আয় কম হয়, হয় বউকে পেটান, না হয় বাচ্চাকে। তাঁর সংসারে আর সুখ রইলো না।

এই দেখে মন্ত্রীমহোদয় আবার রাজার কাছে এলেন। জানালেন, তাঁর রাজ্যের সর্বশেষ সুখি মানুষটিও অসুখি হয়ে গেছে। রাজা জিজ্ঞেস করলো, কীভাবে? মন্ত্রী জবাব দিলেন, ঐ যে, নাইন্টিনাইন ক্লাবের সদস্য বানিয়ে দিয়েছি! রাজা বললেন, অনেক শুনেছি, এবার বলো নাইন্টিনাইন ক্লাব কি… মন্ত্রী বলনে, দেখুন, আমাদের প্রত্যেকের অন্তত নিরানব্বইটা কারন আছে সুখি থাকার, হাসিখুসি থাকার। কিন্তু আমরা সেগুলোর দিকে কোনো নজর দিইনা। নজর দিই সেই একতা জিনিসের দিকে, যেটা হয়ত আমার-আপনার নাই। যার কারণে আমরা অসুখি হয়ে পড়ি। ভোগবাদী এই সমাজে আরও চাই – আরও চাই করতে করতে সবার সুখ বিসর্জন দিয়ে দিয়েছি। তাঁর উপরে স্থান দিয়েছি ভোফগ বিলাসিতাকে। যার জন্য আমরা আজ কেউই সুখি নই। তাই নিজের সুখ-শান্তিকে যতোটা সম্ভব নাগালের মধ্যে রাখতে হবে, তাকে গুরুত্ব দিতে হবে, তাতে বিনিয়োগ করতে হবে।

সুখি মানুষের জীবনে আপনাক স্বাগতম!

দাগী আসামি থেকে ধর্মপ্রচারক – Malcolm X

মে, ১৯২৫। আমেরিকার ওকলাহোমায় আর্ল লিটল ও লুইজ লিটলের ঘরে জন্ম নেন একটা ছোট্ট ফুটফুটে শিশু। পিতা আর্ল পেশায় একজন আফ্রো-আমেরিকান ব্যাপটিস্ট মিনিস্টার। আর মা লুইজ গ্রানাডীয়-আমেরিকান এক্টিভিস্ট। রাজনৈতিক শত্রুতার কারণে ১৯৩১ সালে গুপ্ত হত্যার স্বীকার হলে মাত্র ৬ বছর বাবাহীন পুত্রকে নিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়ে যান মা। ছেলে স্কুলে ভালো ছাত্র হিসেবে পরিচিত হলেও পড়াশোনা বেশিদূর এগোয়নি। নানান কারণে স্কুল থেকে ঝড়ে পড়েন, যুক্ত হন ভয়ংকর মাদক বেচাকেনার সাথে। এসব কারণে ‘ডেট্রয়েট রেড’ তকমাও জুটে যায় অল্পবয়সে। সবকিছুর একটা শেষ আছে, তারও হলো তাই-ই। মাত্র ২১ বছর বয়সে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে ঢুকতে হয় জেলখানায়। সেখানেই দেখা হয় ব্ল্যাক মুসলিমদের ডুবতে থাকা দল নেশন অফ ইসলামের ততকালীন প্রধান এলিজা মুহাম্মাদের সাথে। তার হাতে ইসলামের দীক্ষা নিয়ে নাম বদলে ফেলেন। নতুন নাম মালিক এল শাহাবাজ। তার বাগপটুতা আর চৌকশ নেতৃত্বের কারনে প্রায় অস্তমিত হতে যাওয়া ৪০০ জনের দল নেশন অফ ইসলামের সদস্য সং্খ্যা ৮ বছর পেরুতেই ঠেকে ৪০,০০০ এ। চারদিকে তার নাম ছড়িয়ে পড়ে। স্বয়ং মার্টিন লুথার কিং তার কাজের ভুয়সী প্রশংসা আর সাহায্য সহযোগিতা করেন। খ্যাতির বিড়ম্বনাও ছিলো প্রচুর। তার রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে এফবিআইয়ের নজরে আসেন তিনি। পরের জীবনের প্রতিটা পদক্ষেপ নিতে হয়েছে সাবধানে। এফবিআই নজর রাখছে যে… চরম বন্ধুর এই জীবনের গল্প ম্যালকম এক্সের। ১৯৬০ সালের দিকে জনপ্রিয় বই Roots এর লেখক আলেক্স হ্যালিকে সাথে নিয়ে নিজের জীবনীগ্রন্থ রচনায় হাত দেন মাত্র ৪০ বছর বয়সে আততায়ীর গুলিতে নিহত হওয়া এই নেতা।

১৯৬৫ সালে তার এই বই Malcolm X নামে প্রকাশিত হলে বাজারে সাড়া পড়ে যায়, অর্জন করে বেস্টসেলার খেতাম। বইদুটি নিয়ে করা আলোচনাটি পেলাম রকমারির ইউটিউব চ্যানেলে। ভিডিওর লিংকটা দিয়ে দিলাম। আপনারা দেখতে পারেন।