গতো ৩ ফেব্রুয়ারি গিয়েছিলাম জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য কক্সবাজারের খুরুশকুলে নির্মিত বিশ্বের বৃহত্তম পুনর্বাসন প্রকল্পে। বাকখালী নদীর কূল ঘেষে গড়ে উঠা এই প্রকল্পটির কার্যক্রমের একটি অংশ সম্পন্ন হলেও সম্পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য অনেক সময়ের প্রয়োজন। তবে কাজ চলছে পুরোদস্তর। এই ফটোস্টোরিতে সেখানকার কিছু স্থিরচিত্র আপনাদের জন্য তুলে ধরা হলো –
![[০১] ঢুকতেই চোখে পড়বে বিশাল খেলার মাঠ। ভরদুপুর বলে মাঠে কাউকে দেখা যাচ্ছেনা।](https://yusufmunna.com/wp-content/uploads/2021/02/WhatsApp-Image-2021-02-05-at-10.08.53-AM-3.jpeg)
![[০২] মাঠের ঠিক বিপরীতে সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য নির্মিত হয়েছে স্কুলঘর। পাঁচমাস হতে চললো তারা এই নিবাসে এসেছেন। তাই স্কুল কোভিডের কারণে স্কুল চালু হতে পারেনি। তবে পুনর্বাসন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সীমিত আকারে প্রশিক্ষণ চলছে।](https://yusufmunna.com/wp-content/uploads/2021/02/WhatsApp-Image-2021-02-05-at-10.08.53-AM-2.jpeg)
![[০৩] একটু সামনে এলে ছোট একটা পুকুর। দুদিকে পুকুরে নামার সিড়ি আর পাড়ে বসার জন্য আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।](https://yusufmunna.com/wp-content/uploads/2021/02/WhatsApp-Image-2021-02-05-at-10.10.12-AM-7.jpeg)
![[০৪] পুকুর ঘাট থেকে সবগুলো ভবন একসাথে দেখা যায়। সারি সারি ভবনগুলো দেখতে বেশ ভালোই লাগে।](https://yusufmunna.com/wp-content/uploads/2021/02/WhatsApp-Image-2021-02-05-at-10.08.53-AM-1.jpeg)
![[০৫] ভবনের নীচতলায় থাকা ফাঁকা অংশে যে যার মতো ক্ষুদ্র পরিসরে দোকানপাট শুরু করেছে। স্থানীয় তরিতরকারি ও হালকা নাস্তার চাহিদা এখান থেকে পূরণ হয়।](https://yusufmunna.com/wp-content/uploads/2021/02/WhatsApp-Image-2021-02-05-at-10.09.41-AM-6.jpeg)
![[০৬] ভ্যনগাড়িতে করে শিঙ্গাড়া-সমুসা বিক্রি করছেন করিম (২৩)। তাদের আদি নিবাসে (কুতুবদিয়া পাড়া) থাকাকালীন দোকান করতো। এখানে এসে একমাস ধরে ইলেক্ট্রনিকসের ট্রেইনিং নিয়েছে। ট্রেনিং-পরবর্তী-ভাতা হাতে পেলে ইলেক্ট্রনিকসের কাজ শুরু করে দিবে।](https://yusufmunna.com/wp-content/uploads/2021/02/WhatsApp-Image-2021-02-05-at-10.09.41-AM-7.jpeg)
![[০৭] এখানকার মহিলারাও পরিবারের হাল ধরতে দোকানে কাঁচা মালামালের পরসা সাজিয়ে বসেছে।](https://yusufmunna.com/wp-content/uploads/2021/02/WhatsApp-Image-2021-02-05-at-10.10.12-AM.jpeg)
![[০৮] এখানে এখনও পর্যন্ত কোন হাসপাতাল গড়ে উঠেনি। তাই বলে তো আর রোগ থেমে থাকবেনা। তাই ভবনের নীচে সামান্য পরিসরে বসেছে ওষুধের দোকান। সেখান থেকেই মিলে প্রাথমিক চিকিৎসা। তবে খুব জরুরী হলে শহরে নিয়ে যাওয়া হয়।](https://yusufmunna.com/wp-content/uploads/2021/02/WhatsApp-Image-2021-02-05-at-10.09.41-AM-9.jpeg)
![[০৯] ছোট ছোট এমন অনেক চায়ের দোকান গড়ে উঠেছে প্রায় প্রতিটি ভবনের নীচ তলায়। এখানে বসে চা খেতে খেতে হোয়াইট হাউসের রাজনীতি নিয়ে তুমুল আলোচনা চলে।](https://yusufmunna.com/wp-content/uploads/2021/02/WhatsApp-Image-2021-02-05-at-10.10.12-AM-1.jpeg)
![[১০] বিল্ডিং এর নীচে ফাঁকা জায়গাগুলো ময়লায় ভরে যাচ্ছে। ঠিক যেমনটা আমাদের বড় শহরগুলোতেও দেখা যায়।](https://yusufmunna.com/wp-content/uploads/2021/02/WhatsApp-Image-2021-02-05-at-10.09.41-AM-12.jpeg)
![[১১] অনেকেই আবার শাকসবজির চাষ শুরু করেছেন ফাঁকা জায়গাগুলোয়। কেউবা আবার দড়ি টাঙ্গিয়ে কাপড় শুকায়।](https://yusufmunna.com/wp-content/uploads/2021/02/WhatsApp-Image-2021-02-05-at-10.09.41-AM-4.jpeg)
![[১২] চাচার বাড়ি আশ্রয়ন প্রকল্পের পাশেই। এখানে এসেছেন ঝালমুড়ি বিক্রি করতে। জানতে পারলাম বেচা বিক্রি খুব একটা মন্দ হয়না।](https://yusufmunna.com/wp-content/uploads/2021/02/WhatsApp-Image-2021-02-05-at-10.09.41-AM-10.jpeg)
![[১৩] বাড়ি বাড়ি গিয়ে ময়লা নিয়ে আসার কোন ব্যবস্থা নেই। যে যার মতো এ জায়গায় এসে ময়লা ফেলে। সে ময়লা বাতাসের কারণে ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে।](https://yusufmunna.com/wp-content/uploads/2021/02/WhatsApp-Image-2021-02-05-at-10.08.53-AM-5.jpeg)
![[১৪] ছবিতে বাচ্চাদের হ্যালিপেডকে পীচ বানিয়ে খেলতে দেখা যাচ্ছে। আর ঐ যে দূরে দেখা যায়, সেনাবাহিনীর ক্যাম্প। মূলত তারাই এই প্রকল্পের নির্মান কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।](https://yusufmunna.com/wp-content/uploads/2021/02/WhatsApp-Image-2021-02-05-at-10.08.53-AM-7.jpeg)
![[১৫] কক্সবাজার বিমানবন্দর আর আশ্রয়ন প্রকল্পের মাঝে শুধু একটা নদী। তাই খুব কাছ থেকে বিমান উঠানামা পর্যবেক্ষন করা যায় এখান থেকে।](https://yusufmunna.com/wp-content/uploads/2021/02/1-2.jpeg)
![[১৬] একটা ভবনের নীচে ইন্টারনেটের এই বিজ্ঞাপনটা দেখে অবাক হয়েছি। সংযোগদাতাদের সাথে কথা বলে জানা গেলো এই পর্যন্ত গ্রাহক আছে ৬/৭ জন। একেকজনে সংযোগ নিয়ে সর্বমোট ব্যয় হয়েছে ৪০০০ টাকা মতো।](https://yusufmunna.com/wp-content/uploads/2021/02/WhatsApp-Image-2021-02-05-at-10.08.53-AM-6.jpeg)
![[১৭] হাঁটতে হাঁটতে এই দাদি-নাতির সাথে দেখা হলো। খোলামেলা পরিবেশ থেকে বদ্ধ খোপের জীবন দুজনেরই বেশ মন খারাপ করে দিয়েছে। সুযোগ পেলেই দুজন ফ্ল্যাট থেকে হাঁটাচলা করতে বেরিয়ে পড়েন।](https://yusufmunna.com/wp-content/uploads/2021/02/WhatsApp-Image-2021-02-05-at-10.09.41-AM-11.jpeg)
![[১৮] প্রকল্পের পশ্চিমে বাকখালি নদীর ব্লকে-বাধানো পাড়। দৃষ্টিনন্দন এই পরিবেশ ক্রমেই পর্যটকের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।](https://yusufmunna.com/wp-content/uploads/2021/02/WhatsApp-Image-2021-02-05-at-10.09.41-AM.jpeg)
Post Views: 2,612