বাদল সৈয়দের সাথে এক সন্ধ্যা

এটা ওটা কারণে অনেকদিন ব্লগের জন্য কিছু লেখা হয়না। এ নিয়ে নিজের উপর একটু মন খারাপ। অবশ্য অনেকদিন আগেই তো এটা বলা হয়েছে যে – ঘরের গরু ঘাটের ঘাস খায়না। আমার ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা অনেকটা সেরকম। এরজন্য-ওরজন্য লিখতে গিয়ে নিজের ব্লগের জন্য হয়ে উঠেনা। যাহোক, যেকারনে আজকের এই লেখাটা…

উঠতি অনলাইন বুকশপ পিয়নের অফিসে গিয়েছিলাম সেদিন। মূলত তারা বইমেলা উপলক্ষ্যে বাদল সৈয়দের ডিজিটাল সাইনিং করেছে। নাফিস আর জয় বলেছিলো আমিও যেন গিয়ে আমার অল্পকিছু বই সাইনিং করে আসি। বন্ধু মানুষ, তাই একটু হয়তো মায়া দেখিয়েছে তুচ্ছ এই লেখককে। আমি যেতে খানিকটা দেরি করে ফেলেছি। এর মধ্যে বাদল সৈয়দ চলে এসেছেন। আলাপচারিতা চলছিলো, মধ্যপথে যাত্রার সওয়ার হয়েছি আমি। সাহিত্য, ইতিহাস, উন্নয়ন থেকে শুরু করে কতো আঁকাবাঁকা অলিগলি পাড়ি দিচ্ছিলো কথার গাড়ি। আমি বসে বসে বেশ মনোযোগ দিয়ে শুনার চেষ্টারত।

সে আলোচনার কিছু পয়েন্ট আমাকে টেনেছে বেশ। আমিও আপন করে নিয়েছি ফোটপ্যাডে [লিখতে চাচ্ছিলাম ফোনের নোটপ্যাড। কিন্তু তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে হয়ে গেলো ফোটপ্যাড। শব্দটা ভূল হয়েছে। তাই কেটে আবার লিখতে যাচ্ছি… হঠাত মনে হলো, থাকনা। কি আর হবে। নতুন একটা শব্দ হিসেবে নাহয় থেকে গেলো। খারাপ কি?]

  • কথায় কথায় বলছিলেন ছেলেবেলার কথা। তার বাবা নাকি কখনো সন্ধ্যার পর ঘরের বাইরে থাকতেন না। এর যুক্তি হিসেবে তিনি বলতেন, আমি নিজেই যদি সন্ধ্যার পর ঘরের বাইরে থাকি, তাহলে আমার সন্তানদের আমি কোন মুখে সন্ধ্যার আগে বাসায় ফিরতে বলবো? কথাটা আমার বেশ পছন্দ হলো। আমাদের ব্রাউন-ফাদারদের স্বভাব একটু আলাদা। তারা উপদেশ দিতে পছন্দ করেন খুব। কিন্তু সবার আগে নিজেরা সেটা অমান্য করেন। আবার ভূল ধরিয়ে দিতে গেলে বেয়াদব বলে ফিরিয়ে দেন। যেটা আমার দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ অনুচিত। বরং সব বাবার উচিৎ দৃষ্টান্তের মাধ্যমে সন্তানদের পরিচালনা করা।
  • আরেকটা প্রথাভাঙ্গার কথা বললেন তিনি। সেটাও আমার বেশ মনে ধরেছে। জানালেন, তিনি নাকি বিয়ে, হলুদ, ওয়ালিমা, আকিকা ধরনের অনুষ্ঠানে যাননা। যদিও প্রথমদিকে খুব কষ্ট হয়েছে আত্নীয়দের বিষয়টা বুঝাতে, কিন্তু এতোদিনে বিষয়টা পাকাপোক্তভাবে দাঁড়িয়ে গেছে। কিন্তু ঠিক কি বলে বা কীভাবে তিনি এমন অসামাজিক প্রচেষ্টাকে দাড় করাতে পেরেছেন? সে বিষয়টাই আমার কাচে ইন্টারেস্টিং মনে হলো। তিনি বলেন, “দেখেন, এই আনন্দের অনুষ্ঠানে আপনার লোকের অভাব হবেনা। যাকেই দাওয়াত দিবেন, চলে আসবে। সেজেগুজে এসে নেচে-গেয়ে-খেয়ে-দেয়ে চলে যাবেন। তাতে আমি না গেলেও খুব একটা ঘাটতি হবেনা। কিছু মনে করবেন না, আমার দোয়া আপনার সাথে থাকলো। তবে যেদিন বিপদে পড়বেন, দেখবেন, কেউ কাচে আসছেনা, সেদিন আমাকে খবর দিবেন। আমি নিশ্চিতভাবেই সেদিন আপনার কাছে যাবো। চেষ্টা করবো আমার অবস্থান থেকে যতটুকু সম্ভব সাহায্য করার।” – আমার কথা হলো, সব অনুষ্ঠানেই যে আপনার যেতে হবে এমন তো কোন কথা কোথাও লেখা নেই। কিন্তু লেখা আছে যে কেউ বিপদে পড়লে তাকে সাহায্য করতে হবে। দেখুন, ফরজ নিয়ে আমাদের মাথাব্যাথা নেই, সবাই নফল নিয়ে ব্যস্ত!
  • বাদল সৈয়দ বলেছেন তিনি প্রতিদিন নিয়ম করে পড়তে বসে সন্ধ্যার সময়ে। এটার জন্য একটা ধরাবাঁধা স্ট্যান্ডার্ডও আছে। তিনি চেষ্টা করেন প্রতিদিন অন্তত ১০০ পৃষ্ঠা পড়ার। পরিবর্তনশীল এই দুনিয়ায় হয় পড়বেন, নাহয় পিছিয়ে যাবেন। চব্বিশঘণ্টার একেকটি দিনে নতুন কিছু যদি না-ই শিখতে পারলেন, তাহলে হলো-টা কি?          

ইকিগাই; ঊনো ভাতে দুনো বল

আমরা সাধারনত একবার বসলে ভরপেট খেয়ে তারপর উঠার কথা চিন্তা করি। এর ফলে শুধু পাচনের কাজেই সময় ও শক্তির অনেকটুকু ব্যয় হয়ে যায়। জাপানীরা সেদিক থেকে বেশ ব্যতিক্রম। খাওয়ার শুরু এবং শেষে তারা একটা কথা বলেন – ‘হারা হাচি ব্যু’ – বাংলায় যার অর্থ দাঁড়ায় “পাকস্থলীর ৮০% পরিমাণ খাও”। এটা তাদের জন্য অনেকটা অনুস্মারক বা রিমাইন্ডারের মতো। প্রতি বেলাতে তারা উনোপেট খেয়ে টেবিল থেকে উঠে যান। এই রীতি তাদের মাঝে অনেকদিন ধরে চলে আসছে।

কীভাবে বুঝবেন কখন পেটের ৮০ শতাংশ ভরেছে? যখন মনে হবে পেট পরিপূর্ণ হতে শুরু করেছে, তখনই খাওয়া শেষ করে দিতে হবে। অতিরিক্ত খাবারের পদ, আপেল পাই – মূল খাবার খাওয়ার শেষে আমরা এসব হালকা খাবার খেতে অভ্যস্ত। যদিও এসব খাবার স্বল্প সময়ের জন্য ভালো লাগে, কিন্তু পরে গিয়ে হিতে বিপরীত হয়। তাই এসব থেকেও যতোটা সম্ভব দূরে থাকতে হবে।   পাশাপাশি, খাবারের পরিবেশনাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। জাপানীরা তাদের খাবারগুলো ছোট ছোট প্লেটে পরিবেশন করেন। যার মূল উদ্দেশ্য কম খেতে উৎসাহিত করা। জাপানী রেস্তোরাঁয় খাবারগুলো সাধারনত পাঁচটি আলাদা প্লেটে পরিবেশন করা হয়। এতে মনে হবে আপনি অনেক কিছু খাবেন। কিন্তু শেষে দেখা যায় পেটের কিছুটা এখনো খালি। সে কারনে পশ্চিমা কেউ জাপানে থাকলে দ্রুত ওজন হারায়।


OP-ED: Covid-19: A message from the marginalized

How is the informal sector coping with the pandemic?

The world is going through an unprecedented situation and so is Bangladesh. The entire country has bottomed out due to the Covid-19 crisis and the impact has intensified. 

The delayed declaration of the lockdown has proven to be nothing but a hollow step in preventing the consequences. Therefore, we can clearly see the outcome — an increase in the virus spreading countrywide. In addition, the economic growth has slowed down.

Think-tanks and local and international experts are meticulously trying to observe the situation, understand the movements, and then offer advice accordingly. 

It is a real challenge to dive deep enough to comprehend the impact on marginalized communities due to certain circumscriptions. 

What’s happening to the marginalized?

As a result, this issue has remained out of the sight. Now, the question is: What’s happening to these people? How are they tackling the situation?   

To feed my curious mind, I took the help of the Key Informant Interview or KII method to obtain the data. Keeping in mind the limitations, I interviewed 20 people of a coastal village named South Rajghat located in Matrabari, Moheshkhali, Cox’s Bazar. 

The sample included pop-and-mom shop owners, beverage shop owners, seasonal fruit sellers, and tobacco and betel nut sellers. They were selected based on two criteria: a) they own a small business in the local community market (their family being solely dependent on it) and b) they have at least one school-going child. 

Conclusions

After extensive analysis, I drew the following as the few key inferences representing the marginalized community during this crisis:  

(1) The analysis suggested that, in comparison with the last two-and-half months, the marginal SME’s income had a decline of 50% to 80%. Furthermore, the tobacco and betel nut sellers faced the worst of the circumstances, having a steep 80% decline of their income. 

This depicts that general people have had to reduce the part of their budget which was previously allocated in less necessary products from their daily expenses.       

(2) Income has fallen robustly; however, the demand remains almost the same. Chiefly to tackle the pandemic, they started to consume from their own investment. Alongside, there is still a stream of income available as the lockdown has not been strongly imposed as of yet. 

There is a chance of fear regarding what the situation will be after a few months given the lockdown becomes strict. Bankruptcy is a possibility for small businesses.   

(3) To lessen the spread of the virus, the government has shut down academic institutions such as schools for an uncertain period of time. Though it might seem that the students are sitting idle in their homes, practically 90% of the male students are engaging full-time in their parents’ businesses by helping in financial auditing, selling products, etc.       

(4) Recently, a report published by the World Bank apprehends that a large number of school-going children might drop out due to the massive fall of income. In my findings, the situation seems to be somewhat contrary. 

All the key informants as well as a father of the primary school-going child showed strong optimism by assuring that their child would be going back to school whenever the situation normalizes. 

Only about 20% of the parents said that their children wou not go to high school. 

It was even mentioned that they would rather expect their children to keep supporting the family businesses. Nonetheless, maybe the extension of providing stipends and the school feeding program for high school-goers might change the scenario in the future.       

Overall, it can be concluded that almost 85% of the working people, six crore in number, belong to the informal sector, making them the backbone of our economy. Lack of assured payrolls and ample security funds along with many other ambiguities have left them in a fragile state. 

Moreover, on account of strong unified bodies like BGMEA or TOAB, neither of these people’s problems are well represented or solicited. Hence, the demand to settle the challenges remains unmet. 

This report is to break the glass ceiling and uphold real problems of the field which may seem obscure by simply sitting in Dhaka. Finally, I urge the authorities to be considerate in order to mitigate the problems represented above by eventually taking the necessary steps.

Yusuf Munna is a student of development studies at Khulna University and a development economics enthusiast.

OP-ED: Democratizing the vaccine

It is essential to ensure that all countries have access to the vaccine as soon as it becomes available

Starting from the Wuhan province of China, then spreading to the rest of the world, the coronavirus has left no corner of the world untouched. The entire world has bottomed out due to the Covid-19 crisis, and the impact has intensified. The wheel of the global economy has become stagnant.

The situation only exacerbates until a vaccine is created. It will help us grow immunity against the virus and cut down the possibility of it spreading. 

We are waiting eagerly for the vaccine, so the inevitable question remains — when is it arriving?

Experts say this might take 12 to 18 months. If you are thinking the time span is long, you would be surprised to know that it took seven months for the Zika vaccine to reach the clinical trial stage. On the other hand, China has a candidate for the clinical trial phase just 64 days after unveiling the genome sequence.

According to WHO’s latest list of tentative Covid-19 vaccines, 198 different candidates are in the development stage. 

Among them, 156 have been going through the preclinical stage. Only 10 of them are in the Phase III efficacy trial stage.

Many leading pharmaceuticals like Moderna, Novavax, and Sinovac are in the race; however, Johnson & Johnson is far ahead of them. Recently, an agreement between them and the US federal government was signed, worth $1bn. 

They are eyeing to produce at least a billion doses of vaccine using the J&J plant. 

As per their evaluation, the approximate cost for each dose would be around $10.

The global North has the capacity to ensure the Covid vaccine for each of its citizens. 

But what’s the prospect for the South? High lack of finance, management, and appropriate infrastructure are some of the major hindrances. These make the availability of the vaccine uncertain for its people.

Rather than focusing on fame, scientists are behaving more humanely by putting in tireless team effort to invent the vaccine. The rest is upon the world leaders.

In 2009, an Australian company started producing the influenza vaccine, but then something unfortunate happened. 

The government pushed the company to meet the local demand first, keeping the rest of the world aside. The Covid vaccine might face the same fortune. 

World leaders should come to a consensus on ensuring equal opportunity for all nations, otherwise billions of lives will be at risk.

Is it only through kindness that these nations should consider the South in an equitable way? Of course, not. The North will be in trouble if they fail to reach the South in a time. Research says that a 30-day delay of the vaccine may increase the infection rate to as high as 2.75% in developed countries.

What can the global North do to avoid such a situation? It is difficult for developing countries to buy enough vaccine doses for all; moreover, they do not have the proper infrastructure to reach the marginalized. 

Reaching the marginalized includes proper refrigeration facilities, electricity facilities, and skillful human resources.

Along with international financial institutions, the North can provide both long-term loans and short-term grants to the South. Some of the ways to do so would be by offering their expertise in harnessing local resources and enhancing skills.

World leaders also can empower global vaccine alliances like GAVI to expedite the process. 

Furthermore, the production of other essential vaccines like those for measles, rubella, polio, and influenza might be lowered due to the excessive focus on the Covid vaccine. Such issues should also be kept in consideration, or else efforts will go in vain.  

Bangladesh’s government has been actively leveraging its diplomatic relations to get early access to the Covid vaccine. Countries like Japan, China, and India are showing their positive responses to this. 

We have prior experience and infrastructure of running the polio vaccination program successfully, so if the financial barrier is annihilated, we can definitely come back to our normal lives as soon as the vaccine arrives.

Yusuf Munna is a student of development studies and a freelance contributor. Please address the correspondence to yusuf@reflectiveteens.com.

OP-ED: The classroom is changing

Could hybrid classrooms solve some of the problems in our education sector?

What really makes a good student different from an average one? A good student doesn’t limit themselves to preparing just for the examination.

They discuss and then critically analyze the question paper after the examination to explore their own limitations. Afterwards, they focus on working on their weaknesses so that they can move ahead in the race.  

The entire world is currently going through a large-scale trial in education, and many underlying problems have surfaced. Some countries have taken appropriate measures to get a grip on the situation while others are still struggling. 

Nothing but the vaccine can save them. However, the priority should be to analyze the situation and work through the flaws. This will perhaps eventually put them in a better position to tackle any upcoming issues.   

The pandemic has pushed the world many years ahead. Even a few months ago, working from home or online classes were considered elements of a far-fetched future. 

Then, suddenly, the pandemic pushed the entire world to adapt almost overnight. It is definitely tough to go out of one’s comfort zone in such short notice, but it was necessary to do so. 

In Bangladesh, inadequately qualified and disinterested teachers, lack of classrooms, apathetic researchers have afflicted universities. Teachers have to take care of oversized classes with  almost no time to prepare themselves, and consequently, deliver sub-par lectures in class. 

In a country where even taking a single breath of fresh air can be a luxury for some, how can one think of research?   

No one can deny the differences between physical and online classes. But it might be better to think of something in between, perhaps a hybrid classroom. 

Universities can introduce their own e-learning platforms. Courses, which are theory-focused and require less interaction, can be the first to start. 

Universities can even bring in teachers or professionals from other universities or institutions to teach a course. 

This might eliminate many of the shortcomings; for example, it can lessen the burden on teachers, allowing them to devote a portion of their time to research.    

However, this is easier said than done. Whether most teachers have genuine interest in research remains an unanswered question. Furthermore, the lack of an appropriate environment and ample budget for research becomes a major hindrance. 

At times, the online class, which may be recorded, can expose unsavoury situations, leading to consequences as dire as suspension or even death threats. 

The world is changing faster than ever before. Challenging situations like the pandemic are expediting the process. 

Only the fittest will survive and cope with the rapidly changing world; hybrid classrooms in education could be an answer worth considering if we wish to be fit for the future. 

 Yusuf Munna is an undergraduate student at Khulna University and a Development Economics enthusiast. Please address the correspondence to yusuf@reflectiveteens.com.