আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন

Yusuf's DiaryLeave a Comment on আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন

আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন

স্বপ্ন, জ্ঞান-বুদ্ধি সম্পন্ন কম বেশী সকলেই দেখে। তবে,তার মধ্যে রয়েছে পার্থক্য। কেউ স্বপ্নকে তুচ্ছ ভাবে, খুব একটা গুরুত্ব দেয়না। তাদের কাছে স্বপ্ন,স্বপ্নই থেকেই যায়। আবার অনেকেই আছেন যাদের কাছে স্বপ্নের চেয়ে মূল্যবান আর কিছুই নয়। স্বপ্ন তাদের আকাশ ছোঁয়া। স্বপ্ন তাদের কাজের অনুপ্রেরণা। স্বপ্নের এত রকম-ফের! কেন,এই পার্থক্য?

স্বপ্ন পুরোপুরি তার চিন্তা চেতনার উপর নির্ভর করে। কারও কারও চিন্তা ভাবনার জগত বাক্স বন্ধি। এরই মধ্যে তার চিন্তা ভাবনা সীমাবদ্ধ। যত চিন্তা ভাবনা; সব আত্মকেন্দ্রিক। আরেক শ্রেণির লোক আছে যারা আশ-পাশের দিকেও তাকায়। তার সব বাঁধা বিপত্তিকে পেছনে ফেলে স্বপ্নের লক্ষ্যে ছুটে। যার কারনে তারা কিছু না কিছু পেয়ে যায়। তায়, সাফল্যের জন্য স্বপ্নটাকে আগে দেখতে হবে!

স্বপ্ন দেখ, দেখতে শিখো। অনেক বড় বড় স্বপ্ন। আকাশ ছয়ার স্বপ্ন। লক্ষ্যে অবিচল থাকো। জীবনের সব কিছু’ই হবে স্বপ্নকে কেন্দ্র করে। ধ্যান-জ্ঞান-প্রাণ সবকিছু লক্ষ্যের উদ্দেশ্যে ঢেলে দাও।

আমাদের মধ্যে কেউ হতে চাই ডাক্তার,কেউ বা ইঞ্জিনিয়ার,বিজ্ঞানী,শিক্ষক,উদ্যোক্তা সহ আরও কত কিছু! হ্যা,কেউ বা আবার সাকিব-তামিম থেকে শুরু করে মেসি-রোনালদো পর্যন্ত হতা চায়। তবে কোন স্বপ্নই ছোট নয়। বিচিত্র এই স্বপ্নের জগৎ। তবে; যে যাই হতে চাও না কেন, তোমার যা কিছু সম্বল আছে তা’ই নিয়ে তার পিছু ছুটতে হবে; যেমনটা ছুটে ছিল হেমিলনের বাঁশি ওয়ালার পেছনে! আজস্র বাঁধা আসবে। যতই বাঁধা আসুক, হোকনা সে এভারেস্টের চাইতেও বড়! এভারেস্ট তোহ মানুষ’ই জয় করেছিল,তায় নাহ? তোমাকে ও তা’ই করতে হবে। কেন? পারবেনা?

সমাজের অনেকেই তোমার এ কাজে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে। বাধাকে যদি বাঁধা হিসেবে নেয়া হয়,তাহলে তোহ সব স্বপ্ন-লক্ষ্য’ই অধরা’ই থেকে যাবে। বাঁধাকে অনুপ্রেরণা ধরেই এগুতে হবে। স্বপ্ন’ই তোমাকে ধরা দিবে। সমাজের এই সকল বাঁধা, মন্তব্য কে ভুল প্রমান করতে হবে তোমাকেই। ঠিক পথে এগুলে,দেখবে; সব কিছু ঠিক-ঠাক হয়ে যাবে!

ইতিবাচক মনোভাব একটি বিরাট গুণ। অত্যন্ত আশাবাদি হতে হতে হবে। নেতিবাচক মনোভাব থাকলে, তা এক বাটি দুধে এক ফোটা লেবু দেয়ার মতো’ই কাজ করবে। বি কেয়ার ফুল! সেই নেতিবাচক মনোভাব তোমার সব কাজেই একেকটি নতুন বাধার সৃষ্টি করবে। শুধু-শুধু বাঁধা বাড়িয়ে তোহ লাভ নেই। কোন কাজ শুরু করার আগে তুমি যখন সুন্দর একটি পরিকল্পনা নিয়ে ব্যাস্ত, ঠিক তখনই একটি সন্দেহ তোমার মনে উঁকি মারবে। যা তোমার সুন্দর কাজ কে অঙ্কুরে বিনাস করতে যথেষ্ট। সন্দেহ থাকলে প্রকাশ করো, সমাধান খোঁজার চেষ্টা করো। নেতিবাচক মনোভাব তোমার মনে সন্দেহের বীজ বুনে দিবে,যা তোমাকে হতাশায় ভোগাবে। “আমি পারব তোহ?” “কোন বাঁধা আসবেনা তোহ?”

সেটা না বলে, বল ‘‘আমি পারব’’, ‘‘যতই বাঁধা আসুক,উড়িয়ে দিবো”। আমি সফল হবোই! কেউ তোমাকে আটকাতে পারবেনা। সন্দেহকে তোয়াক্কা না করে এগিয়ে যাও। সাফল্য অবধারিত। নেপোলিয়ানের ইতিবাচক মনোভাবই তাকে আল্পস পেরোতে সাহায্য করেছিলো। তবুও কি তুমি নেতিবাচক মনোভাব ত্যাগ করবেনা?

ছোট-ছোট নয়, অনেক বড়-বড় স্বপ্ন দেখো। “যা কিছু কল্পনা করা যায়, তার সব’ই বাস্তবায়িত করা সম্ভব”—কথাটি নিশ্চয় মনে আছে? আরও একবার মনে করিয়ে দিলাম। এই জন্য যে; আমাদের সমাজের একটা গতানুগতিক ধারনা আছে। সেটি হল যারা বড়-বড় স্বপ্ন দেখে, তারা নাকি জীবনে কিছুই করতে পারেনা। আসলে কথাটি সম্পূর্ণ নিরর্থক।

আমি কোন কাজ করার আগে সেটা নিয়ে বেশী-বেশী করে স্বপ্ন দেখি। যে যা’ই বলুক, একেবারে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় স্বপ্নটা দেখো। কথাটির যৌক্তিকতাটা এখানে যে; এর ফলে ফলা-ফলের প্রতি একটা লোভের সৃষ্টি হয়, “আমি কাজটা হয়ে গেলে এতো কিছু পাব!” এমন আকর্ষণের ফলে পাওয়ার লোভে কাজটা হয়ে যায়। তোমাকে কোন শক্তি’ই ঠেকাতে পারবেনা। তুমি’ই সফল হবে!

কারও কথায় কান দিওনা। একটি কাজ করার পরিকল্পনা হাতে নিলে,কাজ শুরু করলে। কর্মময় এই পথে হাটার সময় তোমার নানা জনের নানা কথা শুনতে হতে পারে। যা তোমার স্বপ্ন, মনোবল ভেঙ্গে দিতে পারে। সবার দৃষ্টিতে একটি কাজ ভাল নাও হতে পারে। তায় বলে এভাবে ভেঙ্গে পরলে চলবে না। সফলতা অর্জনের করতে গেলে তোমার মতামত টা কে আগে দেখতে হবে! হয়তো তোমার কাজটি সমাজের উপকারে আসবে। কিন্তু; বিশ্বাস করো, তুমি সফলতা অর্জন কেউ তা সহ্য করতে পারবেনা। তায়, তারা ইচ্ছে করেই এমন সব উল্টা-পাল্টা কথা বলে। যদিও তারা জানে কাজটা সবার উপকারে আসবে। আর একটি কথা তো জানো’ই যে, “খালি কলসি বাজে বেশী”।

Please follow and like us:
error0
fb-share-icon0
fb-share-icon20
Yusuf Munna is a Bangladeshi Social Entrepreneur, Writer and Activist. He is currently serving as the founder and CEO at Reflective Teens, an internationally recognized teen based creative platform working to expose, incite and incubate the creativity of teenagers. Yusuf frequently writes for different national English dailies including Dhaka Tribune and The Business Standard.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back To Top